প্রধানত ‘ভুয়া ভোটার’ দেখানোর অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন ‘গরমিলের’ অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের আটটি সংসদীয় আসনে ১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী, যাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও রয়েছেন প্রভাবশালী একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা। এদের বাইরে যেসব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেগুলো মূলত নামসর্বস্ব। অন্যদিকে এই আটটি আসনে মোট ৫৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, এমন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বাতিল হয়ে গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চুর মনোনয়নপত্র। চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চট্টগ্রামের আটটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে এই আটটি আসনের মোট ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এই আটটি আসন হল— চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর শেষ সময় ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।