রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
মাহমুদুল ইসলাম ও আরশেদুল আলম বাচ্চুর মনোনয়ন বাতিল প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও হাজির হননি দিদার
চট্টগ্রাম–৯ কোতোয়ালী–বাকলিয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম–১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির মনোনয়নপত্র বাতিলে দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদনের উপর শুনানির শেষদিনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এই তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল খারিজ করে দেয়া হয়। বিপরীতে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং খাদিজাতুল আনোয়ার সনির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশনের আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি চট্টগ্রাম–১৬ বাঁশখালী আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে ঋণ খেলাপি হিসেবে উল্লেখ থাকায় গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মনোনয়নপত্র বাছাইকালে সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন। তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে কমিশন তা খারিজ করে দেয়।
এদিকে গত নির্বাচন কমিশনের আপিলে চট্টগ্রাম–৮ চান্দগাঁও–বোয়ালখালী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরশেদুল আলম বাচ্চু তার প্রার্থিতা ফিরে পাননি। এক শতাংশ ভোটারের ১০টি মধ্যে ৬টির স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র ফিরে পাওয়ার আপিল আবেদন না মঞ্জুর করা হয়।
অপরদিকে চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। গতকাল তার শুনানি ছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম–৯ কোতোয়ালী–বাকলিয়া আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মনোনয়ন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছিলেন একই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সানজীদ রশীদ চৌধুরী। তার অভিযোগ ছিল ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। কিন্তু গতকাল নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে তার আপিল আবেদনটি টিকেনি। কমিশন তা খারিজ করে দেন। এদিকে চট্টগ্রাম–১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেছিলেন এই আসনের ভোটার ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান। গতকাল নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে সেটি খারিজ হলে নদভীর মনোনয়নটি বৈধ হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন দায়ের করেছিলেন ওয়ান ব্যাংকের ঢাকার কাওরান বাজার শাখার এসিসটেন্স ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল কবির ফয়সাল। তাদের অভিযোগ (ওয়ান ব্যাংকের) খাদিজাতুল আনোয়ার সনির স্বামী ওয়ান ব্যাংকের ঋণ খেলাপি এবং খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এই ঋণের জিম্মাদার। ওয়ান ব্যাংক প্রথমে হাইকোর্টে খাদিজাতুল আনোয়ার সনির প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিট করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ঋণ খেলাপি নন। এই কারণে হাইকোর্ট ওয়ান ব্যাংকের রিট খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে ওয়ান ব্যাংক নির্বাচন কমিশনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনির প্রার্থিতা বাতিলের আপিল আবেদন করে। গতকাল নির্বাচন কমিশনে ওয়ান ব্যাংকের আপিল আবেদনের উপর শুনানি শেষে তা খারিজ হয়। এবং খাদিজাতুল আনোয়ার সনির প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।