সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দরবারে মূসাবীয়ার ৭৭ তম পবিত্র খোশরোজ শরীফ অনুষ্ঠিত আনোয়ারায় মাজার মসজিদের  জমি দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ইউসেপ স্কুলে নবীন বরন ও এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের জয় ডাক্তার সেজে আইসিইউতে ল্যাব টেকনিশিয়ান বাকলিয়া থানার বিশেষ অভিযানে মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম পরিবহন থেকে চাঁদাবাজির সময় ৩০ জন গ্রেপ্তার সীতাকুণ্ড ডিসি পার্কে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী সাম্পান বাইচ বোয়ালখালী জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে : আইজিপি

বাপ বেটার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা : ধ্বংস হচ্ছে পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য

 

এম.আব্দুল আউয়াল , চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন এখানে।শত শত কোটি টাকা খরচ করে পতেঙ্গা সৈকতকে সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একশ্রেণীর চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী তাদের সুবিধার জন্য এই সৌন্দর্যকে ধ্বংস করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আর তার থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছেন বাপ বেটার সংগঠন কথিত হকার সমিতি। প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছেন কথিত হকার সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুদ আলম। তাদের চাহিদার মত চাঁদা না দিলে হামলা মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে তাদের অত্যাচার চাঁদাবাজী আরো বৃদ্ধি পায় প্রতিদিন কোন না কোন ব্যবসায়ীর উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।

সাগর পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনে লাগানো গাছ ও বাগান নষ্ট করেই তৈরি করা হয়েছে এসব অস্থায়ী দোকান। খাবারের দোকান ছাড়াও ঝিনুক, মালাই চা, কসমেটিকস এবং অন্যান্য আরো শতাধিক দোকান রয়েছে। এছাড়াও সৈকতের পশ্চিম পাশে রয়েছে ৮-১০টি নাগরদোলা, বিচ বাইক, ঘোড়াসহ বিনোদনের আরো কয়েকটি উপাদান। এসব ঘিরে পতেঙ্গা বিচ এলাকায় দৈনিক লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে জানায় ব্যবসায়ী ও হকার।

গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার পতেঙ্গা সৈকতের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান। সেখানে পর্যটকদের হাঁটার পথটুকুও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। পর্যটকদের বসার জন্য বানানো রঙিন ব্লকগুলো খাবারের অস্থায়ী দোকানে ঢাকা পড়েছে। বাগানের স্থানেও গড়ে উঠেছে দোকান। পুরো পতেঙ্গা সৈকত যেন দোকানদারদের কবলে।

সিডিএ’র উদাসীনতায় পতেঙ্গার মত একটি উন্মুক্ত জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করতে পেরেছে এই চাঁদাবাজ গোষ্ঠী।

দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাবারের দোকানগুলোর ভাড়া দৈনিক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। যা মাসে ১৫ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকা। এর বাইরে দোকান চুক্তি বাবদ এককালীন দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। ঝিনুক, চা দোকানসহ অন্যান্য দোকান থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী এবং দখলদাররা এসব দোকান দখল করে ভাড়া দিয়ে থাকে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হকার কথিত হকার নেতা মো. মাসুদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা চাঁদাবাজীর সাথে নাই।

জানতে চাইলে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ও আউটার রিং রোডের প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস বলেন, পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। চট্টগ্রামবাসীর বিনোদনের স্থানে যারা অবৈধ দোকান নির্মাণ করেছে, তাদের শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত