সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক
রাশিয়া বিশ্বকাপ টিভিতে দেখেছেন রিচার্লিসন। তখন তার বয়স ২১ বছর। কেবল প্রিমিয়ার লিগে নাম লিখিয়েছেন। এবার তিনি ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম স্বপ্ন সারথি। রিচার্লি জানেন, ব্রাজিলিয়ানদের কাছে বিশ্বকাপ মানে কী। ভক্তদের ওই প্রত্যাশা পূরণ করতে সাধ্যের সবটা করবেন তারা।
ফিফাকে সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘ভক্তরা আমাদের জন্য গলা ফাঁটান। এর মানে আমরা বুঝি। তারা আমাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠান। ভক্তদের খুশি করতে আমরা আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’
এভারটনে চার মৌসুম খেলেছেন রিচার্লিসন। ভালোর আশা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অসাধারণ কিছু করতে পারেননি। তবে জাতীয় দলের জার্সি পরলেই অন্য রিচার্লিকে দেখা যায়। ৩৮ ম্যাচে ১৭ গোল বেশ ভালোই বলতে হবে। এর মধ্যেই কোপা আমেরিকা জিতেছেন। অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছেন। খেলেছেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রায় প্রতিটি ম্যাচ।
রিচার্লিসন বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘সেলেকাওদের জার্সি পরার পর থেকেই ভালো অনুভব করতে শুরু করি। গোল করতে ও গোলে সহায়তা দিতে শুরু করি। এই জার্সির জন্য আমি সবটা দিয়ে লড়াই করি। আশা করি এটা এমনই থাকবে। অলিম্পিকে আমি দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলাম। তার মানে এই জার্সি আমার গায়ে ভালো মানায়।’
অলিম্পিকে সর্বোচ্চ গোল করে স্বর্ণ জিতলেও রিচার্লিসন জানান যে, তার সবচেয়ে পছন্দের গোল ২০১৯ আসরের কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করা, ‘আমার বন্ধুরা জিগেস করেছিল, পেনাল্টি নিতে ভয় পাচ্ছিলাম কিনা। আমি বলেছিলাম না, কারণ আমি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দলের তৃতীয় পেনাল্টি টেকার ছিলাম আমি। নেইমার ইনজুরির কারণে খেলছিলেন না। কুতিনহো মাঠে ছিলেন না। শটটা তাই আমিই নিয়েছিলাম।’
প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন রিচার্লি। স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে তার। তবে মাঠে সবসময় আগ্রাসী মনোভাব রাখা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটি বলের জন্য মাঠে লড়বেন, ‘প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া স্বপ্নের মতো। গত বিশ্বকাপ টিভিতে দেখেছি, এবার আমি খেলবো। আমি মাঠে প্রতিটি বলের জন্য লড়বো, প্রতিটি ট্যাকলের সঙ্গে লড়বো। যাতে আমি শীর্ষে থাকতে পারি।’